শিরোনাম

পটুয়াখালী ইপিজেডের অগ্রগতি মন্থর

Views: 40

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): বিগত বছরে বরিশালের পটুয়াখালীতে ইপিজেড এর অগ্রগতি হয়নি। জমি দেখা হচ্ছে তবে অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা কমতি দেখা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৯ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বেপজার বোর্ড অব গভর্নরসের এক বৈঠকে নতুন তিনটি ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের পর দুই বছর পার হলেও নতুন ইপিজেড স্থাপনে তেমন অগ্রগতি হয়নি।

এ সম্পর্কে বেপজার মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, পটুয়াখালী জমি দেখা হচ্ছে। কোভিডের কারণে অগ্রগতি কম হলেও বেপজা এখন পুরোদমে মনোযোগী। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইপিজেডগুলো দাঁড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নতুন তিন ইপিজেড করার পেছনে বেপজা তার অবদানের তথ্যও অর্থ বিভাগের কাছে তুলে ধরেছে। জানিয়েছে, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডগুলোতে এ পর্যন্ত মোট ৯৪ হাজার ৮৫৭ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। পোশাক, জুতা ও চামড়া, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস, তাঁবু, কৃষিজাত পণ্য, মাছ ধরার বড়শি, গলফ খেলার স্টিক, খেলনা, পরচুলা ইত্যাদি খাতে এসব বিনিয়োগ এসেছে। আর ইপিজেডগুলো থেকে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২১ লাখ ২২ হাজার ১৫০ কোটি ডলারের। এ ছাড়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৩১৪ জনের। বেপজা ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ২০ কোটি টাকা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরেও ২০ কোটি টাকা করে দেবে বলে অর্থ বিভাগকে জানিয়েছে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বেপজার শিল্প প্লট ইজারা; ভবন ভাড়া; পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংযোগ মাশুল এবং অন্যান্য উৎস থেকে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেপজার রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

এদিকে বেপজা ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইপিজেড করার প্রস্তাব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সর্বশেষ তিন অর্থবছরের উন্নয়ন চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছে অর্থ বিভাগ।

এতে দেখা যায়, সংস্থাটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৫০ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০২ কোটি ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *