পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসক তৈরির নামে জোড়াতালির পাঠদানে স্বাস্থ্যখাত ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এ ছাড়াও ল্যাব-আবাসন সংকটের পাশাপাশি শিক্ষক সংকটেও নেই মাথাব্যথা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যত কোনো ফল মিলছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজটি ২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০১৬ সালে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে হস্তান্তর হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও এখনও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি।
আরো পড়ুন : পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কলেজের একাডেমিক ভবনের কাজ। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি নিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে। কোনো ল্যাব এখনও না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিশ্চিত হচ্ছে না গুণগত মান; রয়েছে আবাসন সংকটও।
শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর শিক্ষক সংকটেও ভুগছে প্রতিষ্ঠানটি। ৭৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩০ জন। সংকটের বিষয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ফল আসেনি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, প্র্যাকটিক্যাল রিলেটেড ক্লাসগুলো থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পাঠদানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, সরঞ্জামেরও অভাব রয়েছে। তাহলে বলেন, এখানে পড়ে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কেমন চিকিৎসক হবেন?
আরো পড়ুন : বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মনরিুজ্জামান বলেন, প্রতিমাসই মাসিক প্রতিবেদন আমরা অধিদফতরের পাঠাই। আমাদের কতোটা পদ খালি আছে সেটার বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের একাডেমিক ভবনটা আসলে কীভাবে রেডি করা যায় সে বিষয়ে কাজ করছি। সে বিষয়ে তাগেদাও দেয়া হচ্ছে।