‘জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্বক্ষণিক আইন শৃঙ্খলা ও জনসাধারণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হাইওয়ে পুলিশ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘সেবা সপ্তাহ ২০২৪’ পালন করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা এ উপলক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম একজন নারী পুলিশ অফিসারকে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়। সে সময় ‘আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি করি, ঝুঁকি ভাতা দেওয়া শুরু করি, দ্বিগুণ রেশন দেই এবং পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করি। জনবান্ধব পুলিশ প্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে গত ১৫ বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পদ সৃজন করে জনবল নিয়োগ করেছি। তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ট্যুরিস্ট, নৌ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, অ্যান্টি টেরোরিজম ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি অত্যাধুনিক ও পেশাদার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছি। আমরা জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ ইউনিট গঠন করেছি। আমরা নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু করেছি, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা অব্যাহতভাবে মাদক ও মানবপাচার রোধসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে জাতির পিতার প্রত্যাশিত ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করবেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’