মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে ইদ্রিস আলীর (৫৫) পরিবার। তাদের চার জনের খাবার জোটাতে তাকে প্রতিদিন যেতে হয় ময়লা-আবর্জনার স্তুপে।
তিনি প্রতিদিন সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়লার স্তুপ থেকে প্লাস্টিকের বোতল, লোহাসহ নানা ধরণের বস্তু খুঁজে বেড়ান।
তারপর খুঁজে পাওয়া লোহার রড ও প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য সামগ্রী ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেন। এ থেকে তার প্রতিদিনের আয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
ইদ্রিস আলীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে। পৌরসভার বালিকা বিদ্যালয় ও বাজার রোডের সংযোগ সড়কে ফেলে রাখা প্রতিদিনের ময়লার স্তুপ থেকে চলছে তার পরিবার।
ইদ্রিস আলী আক্ষেপ করে বলেন, সরকার বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ দিলেও আমার মতো হতভাগার ভাগ্যে কোনটাই জোটেনি। চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে যাদের সখ্যতা আছে তারাই বার বার চাল, ডাল, তেল ও টাকা পেয়ে থাকে।
ক্ষোভ নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি গরিব ময়লা ছানি, আমাকে চোখে দেখে না কেউ।
বাউফল পৌসভার পরিচ্ছন্নকর্মী সেলিম বলেন, প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্নস্থান থেকে আনা ময়লা থেকে ইদ্রিস ভাই খুঁজে পুরানো জিনিসপত্র নিয়ে থাকে। দেখেছি প্রতিদিন এভাবে কুড়াইয়া আনে। তার কোনো অসুখ-বিসুখ দেখিনি। আল্লাহর কী লিলা খেলা, বড়লোকেরা বাসি খাবার খায় না। লোকটা গরীব মানুষ, বড়লোকের ডাস্টবিনে ফেলে রাখা খাবার তুলে নিয়ে খায় অথচ তার কিছু হয় না।
এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, আমি মাত্র কয়েক মাস হলো নির্বাচিত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।