ভোলার চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সাগরের নির্মল বাতাস, সবুজ বন এবং অতিথি পাখির কলকাকলি পর্যটকদের হৃদয়ে নতুন আনন্দের ঝিলিক তৈরি করছে। তবে, প্রতিবছর পর্যটক আসার সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তবুও এখানকার কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। বিশেষত, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং অন্যান্য সুবিধার অভাবে পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
চর কুকরি-মুকরির তাড়ুয়ার দ্বীপ প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে প্রবাহিত সরু খাল, ঘন বন, এবং সাগরের কোল ঘেঁষে থাকা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাড়ুয়া সৈকত প্রকৃতির প্রেমীদের জন্য এক অপূর্ব স্থান। এ অঞ্চলের বন্যপ্রাণী যেমন চিত্রাহরিণ, বন মোরগ, এবং অতিথি পাখি পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। এখানকার মনোরম পরিবেশ প্রকৃতির খোঁজে আসা হাজারো পর্যটককে মুগ্ধ করছে।
তবে, পর্যটকদের সংখ্যা বাড়লেও, এই দ্বীপে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল, যা পর্যটকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবুও স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ আশ্বাস দিয়েছে, তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুকরি-মুকরীতে ইকো-পার্ক স্থাপন করা হয়, যা পর্যটনের জন্য নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।
পর্যটকরা এখানে সাগরের নোনা জলে গা ভেজানোর পাশাপাশি খেলা-ধুলার মধ্যে তাদের সময় কাটান। তাবু খাটিয়ে রাত কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে ৭তলা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার, যা পর্যটকদের বন ও নদীর দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়। পর্যটকরা এখানকার সবুজ প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চান, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে তাদের কিছুটা হতাশা দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা সোহেল চৌধুরি বলেন, “কুকরি-মুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, এখানে কৃত্রিম কিছু নেই, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হলে আরও বেশি পর্যটক আসবে।”
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের সম্ভাবনা অপরিসীম, তবে এই অঞ্চলের আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম