চন্দ্রদীপ ডেস্ক: ঋণের বোঝায় শ্রীলঙ্কা তখন দেউলিয়া। রাস্তায় বিক্ষুব্ধ জনগণ। মনে রোষ-ক্ষোভ। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তখন এশিয়া কাপ জিতে জনমুখে হাসি ফুঁটিয়েছিল। সেখান থেকেই যেন বিশ্বকাপ জয়ী দলটির ঘুরে দাঁড়ানো। যার ধারাবাহিকতায় আরও একটি এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে সিংহলিজরা।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমেছিল দাশুন শানাকার দল। দু’দলের জন্যই জিতলে ভারতের সঙ্গে ফাইনাল। হারলে বিদায়। শেষে জমে যাওয়া ওই লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসের শেষ বলে বৃষ্টি আইনে ২ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোয় বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। প্রথমে ম্যাচ ৪৫ ওভারে, পরে নেমে আসে ৪২ ওভারে। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ২৭.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে বাবর আজমের দল।
ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ওপেনার ফখর জামান (৪)। রান বড় করে পারেননি তিনে নামা বাবর আজম (২৯)। তবে অন্য ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক সাবধানী ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর আউট হন মোহাম্মদ হ্যারিস (৩) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১২)।
সেখান থেকে দলকে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের সংগ্রহ এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ। তারা ১০৮ রানের জুটি দেন। ইফতিখার খেলেন ৪০ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংস। চারটি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন তিনি। রিজওয়ান ৭৩ বলে ৮৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন এই উইকেটরক্ষক।
জবাব দিতে নেমে ৮ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান বাঁচা মরার ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাওয়া ওপেনার কুশল পেরেরা। ২০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলে জুটি গড়েন পাথুন নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ওই চাপ সামাল দিয়ে নিশাঙ্কা দলের ৭৭ রানে আউট হন। তিনি খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।
পরে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা জুটি গড়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন। চারে নামা উইকেটরক্ষক সাদিরা খেলেন ৫১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। মেন্ডিস ৮৭ বলে ৯১ রান করে আউট হন। তিনি আটটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। এরপরই ক্রিজে এসে দাশুন শানাকা আউট হলে চাপ বাড়ে শ্রীলঙ্কার।
শেষ দুই ওভারে মাত্র ১৩ রান দরকার ছিল স্বাগতিক লঙ্কানদের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ৪১তম ওভারে শাহিন আফ্রিদি এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন। শেষ ওভারে জিততে ৯ রান দরকার ছিল লঙ্কানদের। শেষ ২ বলে ৬! হারের শঙ্কা উড়িয়ে দলকে শেষ বলে জেতান চারিথা আশালঙ্কা। তিনি ৪৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন।