চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে সংবিধানে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পার্লামেন্টকে। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতভর চলা পার্লামেন্টের অধিবেশনে এই পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়। খবরটি প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
বিশেষ এই সংশোধনীর আওতায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেবে একটি পার্লামেন্টারি কমিটি। এছাড়া, প্রধান বিচারপতির মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে। সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর পক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় দেশটির সিনেটে, যেখানে ৩৬৬টির মধ্যে ২২৫টি ভোট পড়ে সংশোধনীর পক্ষে।
বিরোধিতা করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি)। প্রস্তাবটি পাস করতে পার্লামেন্টে ২২৪টি ভোট প্রয়োজন ছিল। সরকার বলছে, এই সংশোধনী দেশের আদালতকে পার্লামেন্টের ওপর ‘হস্তক্ষেপ’ করে এমন রায় দেওয়ার থেকে বিরত রাখবে।
উল্লেখ্য, পূর্বের আইনের অধীনে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হতো। সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা অবসরে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষিতে এই পরিবর্তন এসেছে। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী, তিনি অবসরে গেলে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারকই তার স্থলাভিষিক্ত হতেন, কিন্তু এখন থেকে এটি আর হচ্ছে না।