মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): ‘এই খোলা যাগায় এত ঠান্ডার মইধ্যে রাইতে ঘুম তো দূরের কথা, বইয়াও থাকতে পারি না বাবা। খালি বাতাস আর বাতাস, হাত-পা সব ঠান্ডা হইয়া যায়। পাতলা একখান কম্বল দিয়া এই শীত আটকান যায় না।’
তীব্র শীতে কাঁপতে কাঁপতে এমনটাই বলছিলেন পটুয়াখালীর লঞ্চ টার্মিনালের থাকা ছিন্নমূল আলেয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা।
ঘন কুয়াশায় রাতের পটুয়াখালী শহরে ফুটপাতে, বন্ধ চায়ের দোকানের বেঞ্চে কিংবা শহরের লঞ্চ টার্মিনালের ভেতরে দেখা মেলে গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষগুলোর। যাদের কাছে শীত মানে অভিশাপ। এদের কাছে নেই মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই, পেটে নেই অন্ন, শরীরে নেই শীত নিবারণের মতো কোনো পোশাক।
প্রতিবছর সরকারি – বেসরকারি ভাবে এই অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষ গুলোকে শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হলেও এ বছর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো সহযোগিতা করা হয়নি।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই হাঁড় কাঁপানো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত। দক্ষিণবঙ্গ পটুয়াখালী জেলায় ঘন কুয়াশার কারণে রোদের দেখা মিলছে না বেশ কয়েকদিন। ফলে দিন ও রাতে প্রায় একই রকম শীত পড়ছে।
পটুয়াখালী জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তীব্র শীত আরও বেশ কিছুদিন থাকতে পারে এবং চলতি মাসের ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে সেইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীতের প্রভাব থাকতে পারে। এ সময়ে দেশের দক্ষিণবঙ্গে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।