মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর দুমকিতে সেচের পানির অভাবে বোরো’র চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কৃষকরা।
উপজেলার চারিদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধে স্লুইজ গেট অকেজো ও আবদ্ধ থাকায় অভ্যন্তরীণ বেশীর ভাগ খাল, নালা ভরাট হয়ে সেচের পানি শূন্যতায় বোরো’র চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা।
এলাকাবাসী জানায়, ওয়াপদা বেষ্টিত উপজেলার অভ্যন্তরীণ নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ভরাট হওয়া খাল-বিল, পুকুর ডোবায় মারাত্মক পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। সেচের পানির অভাবে চাষীদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বোরোর আবাদ করতে পারছে না। পানির অভাবে শত শত হেক্টর ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে থাকার আশঙ্কা করছেন তারা। প্রত্যন্ত এলাকার মাঠ, ঘাট ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। মুরাদিয়ার মরা নদীর তীরবর্তি এলাকাগুলোতে সামান্য সেচের পানি পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত সেচ-যন্ত্রপাতির পাম্প, পাওয়ার টিলার সংকটের কারণে কৃষকরা বোরোর আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: সবুজ মৃধা বোরো’র আবাদ প্রসঙ্গে বলেন, পানির অভাবে বোরোর আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। সেচের পানির অভাব থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বোরোর আবাদ সম্ভব হচ্ছে না। নদীর তীরবর্তি এলাকার জমি আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই কৃষক জানান, শুষ্ক মৌসুমে মুরাদিয়া নদী শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের পানি মেলানো কষ্টকর। পাম্প সরবরাহ না পাওয়া গেলে নদীর তলা থেকে সেচের পানি ওঠানো অত্যন্ত দুরহ। সে কারণেই এ অঞ্চলের কৃষকরা বোরোর আবাদ নিয়ে মহা সংকটের মুখে পড়েছে। অনেকে বোরো আবাদ করতে না পারায় বিকল্প হিসেবে বেশী বেশী মুগ, মশুরীসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক পানির উৎস না থাকায় বোরোর আবাদ মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। তবে নদীর তীরবর্তি ও আলগি, চরগরবদি, লেবুখালীর চরাঞ্চলের কৃষকরা নিজস্ব উদ্যোগে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু কিছু জমিতে বোরোর আবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। ওই সব চরাঞ্চলে অনেকে বীজতলায় বপনকৃত বীজ ইতোমধ্যে রোপণ যোগ্য হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে শতাধিক হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের টার্গেট নেয়া হয়েছে।