পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে সোহান প্রামাণিক নামে এক কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের চর নিশানবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোহান প্রামাণিক পাবনা জেলার সদর থানার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মধু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি ওই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ম্যানপাওয়ার গাজী এন্টারপ্রাইজের অধীনে সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত দুই দিন ধরে কাজে যোগ দেননি সোহান। তিনি রুমেই অবস্থান করছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন সোহান।
সোহানের খালাতো ভাই অন্তর জানান, ১৫ দিন আগে তিনি সোহানকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। তবে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ের কারণে সোহান কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত দুই দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে দীর্ঘসময় কথা বলার পর সোহান বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের অন্যতম বড় প্রকল্পগুলোর একটি, যা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা কেন্দ্রের কর্মপরিবেশ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম