বরিশাল অফিস: পিরোজপুরের পৃথক স্থান থেকে প্রবাসীর স্ত্রীসহ দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারা যাওয়ারা হলেন- সৌদি আরব প্রবাসী নজিরপুর উপজেলার কোমেলা বেগম (৫০) ও সদর উপজেলার হাসি রানী ঘরামী (৫৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বৈবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কোমেলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই জাহিদুল শেখ জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে বৈবুনিয়া গ্রামে যাই। এসময় ঘরের ভেতরে বোনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমার বোন ওই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে একা থাকতেন। বোনকে হত্যার পর ঘাতকরা তার মুঠোফোনসহ গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
নিহতের প্রতিবেশী মুন্নি বেগম জানান, মারা যাওয়া কোমেলা বেগমের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ সকালে আমাদের বাড়িতে খাবার খেতে কোমেলা বেগমকে ডাকতে দুই সন্তানকে পাঠাই। তারা ঘরে গিয়ে কোমেলা বেগমকে মৃত্য অবস্থায় দেখে আমাকে ডাক দেয়। আমি পাশের হাসিনা বেগমকে নিয়ে ঘরে গিয়ে কোমেলা বেগমকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখি।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই গৃহবধূর লাশ তার নিজ বসত ঘর থেকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে গত দুই-তিন দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শিকারপুর (ডাকুয়া বাড়ি) এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হাসি রানী ঘরামীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হাসি রানী একই এলাকার সত্যেন্দ্র নাথ ঘড়ামীর স্ত্রী।
নিহতের স্বামী জানান, তার স্ত্রী ঘরে একা ছিলেন। সন্ধ্যায় কাজের মহিলা নমীতা রানী বাড়িতে এসে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। পরে তিনি বাথরুমে গিয়ে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় আমার স্ত্রী মরদেহ দেখেন। পরে কাজের মহিলার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আসেন।
পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিকারপুর ডাকুয়া বাড়ি থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।