পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর লতাচাপলী ইউনিয়নের মৎস্য চাষি আনোয়ার প্রথমবারের মতো পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে কোরাল চাষে সফল হয়েছেন। আনোয়ার তার ৩০ শতাংশ জমির মিঠা পানির পুকুরে কোরাল চাষ শুরু করেন প্রায় এক বছর আগে। গবেষকদের তৈরি সিউইড সমৃদ্ধ কৃত্রিম ফিড ব্যবহার করে মাত্র এক বছরের মধ্যেই কোরালের ওজন ৩ থেকে ৪ কেজিতে পৌঁছেছে। এ সাফল্যে আনোয়ারের দেখাদেখি অনেকেই কোরাল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগে কোরাল চাষের এ নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে। ড. আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গবেষক দল থাইল্যান্ড থেকে ৭ শতাধিক কোরালের পোনা এনে আনোয়ারকে সরবরাহ করেন। পোনা গুলোকে কৃত্রিম ফিড দিয়ে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে কোরাল মাছগুলো দ্রুত বর্ধনশীল হয়েছে।
ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, এই প্রযুক্তি কোরাল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য চাষিদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।