বরিশাল অফিস :: বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াল কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্বে ঘাতকদের দোতলায় উঠতে বাঁধা প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমানকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়; বাঙালি জাতির সেই দুর্বিসহ রাতে আমাদের মিন্টু রোডের বাসায় ঘাতকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ভোরে রমনা থানা পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এসে ঘাতকের নির্মম বুলেটে গুরুত্বর আহত আমার স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোনসহ অন্যান্যের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। একারণেই আমার পরিবারের আহত অনেকেরই প্রাণ রক্ষা হয়েছিল।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আরও বলেছেন, এরপূর্বে বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহবানে সারাদিয়ে পুলিশ সদস্যরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘থ্রি-নট-থ্রি’ রাইফেল হাতে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। যেকারণে পাকহানাদার বাহিনী সারদা পুলিশ একাডেমিতে নিরস্ত্র পুলিশ সদস্যদের নির্বিচারে হত্যা করে।
এখনও দেশের প্রতিটি ক্লান্তি লগ্নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী নিজেদের জীবন উৎস্বর্গ করে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু একটি জনবান্ধব, আধুনিক, পেশাদার ও চৌকস পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। তিনি শূন্যহাতে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেও পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম নারী পুলিশ নিয়োগ দিয়েছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বৈরশাসকেরা পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে আর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেকারণে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকেও স্মার্ট হতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি বরিশালের কৃতী সন্তান বশির আহমেদ পিপিএম বার স্ব স্ত্রীক শুক্রবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে সাংসদের আগৈলঝাড়ার সেরালস্থ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় উল্লিখিত কথাগুলো বলেছেন, আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। সভায় বাংলাদেশ পুলিশের সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি বশির আহমেদ পিপিএম বার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ সেবায় নিজেকে উৎস্বর্গ করার অঙ্গীকার করেছেন।
অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, বানরীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ শিকদার বাচ্চু, পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।