রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ ঘটাবে পূর্বাচলের ১২.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে। এই প্রকল্পটিতে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৫.৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬.৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেন বিশিষ্ট সার্ভিস রোড রয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুতৃপূর্ণ স্থানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৫টি গ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত সড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দৃষ্টিনন্দন ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও খালের উভয় পাশে ৩ মিটার প্রশস্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও সম্পন্ন করা হবে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ষা মৌসুমে কুড়িল, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান অনুযায়ী ডুমনী, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল বহমান রাখা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা । এছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক ও কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত অবস্থিত আশপাশের এলাকার নগরায়নের কথা চিন্তা করে বিদ্যমান রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি ট্রাফিক চলাচল নিরবিচ্ছি্ন রাখতে ব্রিজ ও এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন তৈরি করা এবং খালগুলোর সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখাও এই প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রকল্পটি নগরীর সৌন্দর্য্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে।