চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: পোষা বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে খাবার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই বিড়ালের জন্য প্যাকেটজাত শুকনা খাবার ব্যবহার করেন। যদিও এটি সুবিধাজনক, তবে এতে রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি। শুকনা খাবারে পানির পরিমাণ কম থাকায় বিড়াল পর্যাপ্ত পানি পায় না, ফলে তাদের কিডনি ও মূত্রথলির ওপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া, শুকনা খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকায় বিড়ালের মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিড়ালের জন্য ঘরের খাবার, বিশেষত সেদ্ধ মুরগি বা মাছ নিরাপদ ও পুষ্টিকর। এর মাধ্যমে তারা প্রাকৃতিক পুষ্টি পায় যা তাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী প্যাকেটজাত খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক বেলা শুকনা খাবারের সঙ্গে দুই বেলা ভেজা খাবার খাওয়ানো উচিৎ। এছাড়া, শুকনা খাবার খাওয়ালে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যেন বিড়াল পানিশূন্য না হয়।
যদি বিড়াল শুকনা খাবারে অভ্যস্ত হয়ে ঘরের খাবার না খেতে চায়, তবে সেদ্ধ মুরগির মাংসের সঙ্গে শুকনা খাবারের গুঁড়া মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে ঘরের খাবারে অভ্যস্ত করানো সম্ভব।