শিরোনাম

প্রথমবার ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া ধমক

Views: 41

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর পেরিয়ে গেছে চার মাস। এই দীর্ঘ সময়ে দেশটির সবচেয়ে বড় মিত্র ও মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই দেশটিকে কড়াভাবে কিছু বলেনি। বরং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরায়েলকে রক্ষার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সর্বশেষ গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে কড়া ধমক দিয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বুধবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে, সেই ঘটনাকে লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করে অন্যদের ‘মানবেতর’ হিসেবে বিবেচনা করার কোনো সুযোগ ইসরায়েলের নেই।

ইসরায়েল গাজায় যেভাবে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, সেদিকে ইঙ্গিত করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের অন্যদের মানবেতর হিসেবে বিবেচনা করার কোনো লাইসেন্স নেই।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়ংকর উপায়ে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল। সেদিনের পর থেকে (হামাসের হাতে বন্দী) জিম্মিরা প্রতিদিন অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছে। তবে এটি কখনোই অন্যদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার লাইসেন্স হতে পারে না।’

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যকে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কড়া ধমক বলেই উল্লেখ করেছে। ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক হতাহত ও যুদ্ধের সময় সেখানকার মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি হোয়াইট হাউসের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। বুধবার ব্লিঙ্কেনের দেওয়া বক্তব্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর।

ব্লিঙ্কেন গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে গাজার সিংহভাগ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। গাজার অনেক পরিবারের বেঁচে থাকা নির্ভর করে ইসরায়েলি সহায়তার ওপর। তারাও তো আমাদেরই পরিবারের মতো। তারাও আমাদের মা, বাবা, ছেলে ও মেয়ের মতো। যারা ভালো জীবিকা অর্জন করতে চায়, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায় এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। তাদের প্রকৃত পরিচয়ই এটা।’

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অঞ্চলটিতে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়ের অতি সন্নিকটে তাঁর দেশ। গাজায় ইসরায়েলের একমাত্র লক্ষ্য হলো চূড়ান্ত বিজয়। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। এ অবস্থায় গাজার ভবিষ্যৎ আবারও সংশয়ে পড়ে গেছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *