চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: প্রধান বিচারপতিসহ বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের প্রস্তাব করছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। স্বচ্ছতার পাশাপাশি বিচার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তির মতামত ও লিখিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের মতামতের আলোকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কার্যক্রম চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে এই কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় কমিশনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। তবে এর অফিস আদেশ এখনও প্রকাশ হয়নি। আগামী ১৫ বা ১৬ জানুয়ারি কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হতে পারে।
কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের বিলোপ চাইবে বিচার সংস্কার কমিশন। কমিশন মনে করে, ‘সংবিধানে এই মর্মে বিধান থাকা প্রয়োজন যে, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন।’ এ ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা হবে ৭ জন এবং প্রধান বিচারপতির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে অধিকসংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। একইভাবে প্রধান বিচারপতি ব্যতীত অন্যান্য বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন’ গঠন এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতেও কমিশনের প্রতিবেদনে নানা প্রস্তাব থাকছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাষ্ট্র কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বিচার বিভাগসহ ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। ৯০ দিনের মধ্যে এ কমিশনকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।