জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই আন্দোলন চলাকালে প্রবাসীরা ঘোষণা করেছিলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা রেমিট্যান্স পাঠাবেন না। গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা ছেড়ে ভারতের উদ্দেশে চলে যান এবং তিন দিন পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন। এর পরই প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে মুখ খুলেন।
এই সময়ে, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৭০২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন থামানো সম্ভব হয়েছে এবং এটি ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ২৫.৭৩ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল। আগের বছর একই সময়ের তুলনায়, রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।
সেখানে, দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের ব্যাংকারদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে রিজার্ভের পতন রোধ হয়ে দেশীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৩৯ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এই পরিমাণ অর্থ দেশে আসার ফলে, দেশের রিজার্ভের অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকিং খাতেও, যেখানে ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, রিজার্ভের পতন রোধ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং রিজার্ভ বাড়ানোর দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’
অর্থনীতি এবং রিজার্ভের এই ইতিবাচক পরিবর্তন দেশের জন্য একটি আশার প্রতীক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম