চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ প্রিসাইডিং অফিসার এবং বৈঠকের সম্বয়ককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় তাদের সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. বিল্লাল হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কোর্ট পরিদর্শক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং বৈঠকের সমন্বায়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুলহাজ উদ্দীন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম জানা যায়নি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন জানান, ওই বৈঠকের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা নির্বাচন নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র।
প্রসঙ্গত, রোববার সদর উপজেলার কাদাই এলাকায় একটি রিসোর্টে প্রিসাইডিং অফিসাররা গোপন বৈঠক করছিল-এমন অভিযোগে পুলিশ ও নির্বাচন অফিসার অভিযান চালায়। কিন্তু কাউকে না পেলেও পরের দিন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই ছয় জনকে আটক করে। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অফিসার মামলা দায়ের করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত শেষে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।