বরিশাল অফিস :: পটুয়াখালির গলাচিপায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে কিশোর মারুফের (১৫) বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফকে আসামি করে গলাচিপা থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা। পরে অভিযুক্ত মারুফকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানা পুলিশ।
রাতে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামের মো. ফেরদাউস আকনের ছেলে মো. মারুফ, একই গ্রামের গলাচিপা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। সপ্তম শ্রেণির ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত মারুফ। বুধবার বিকেলে ওই কিশোরী হরিদেবপুর থেকে বোনের বাড়িতে অটোরিকশায় করে রওনা দেয়। পথে বখাটে কিশোরও ওই অটোরিকশায় ওঠে। এ সময় সে কিশোরীকে বলে ‘তোকে পথে নামিয়ে দিয়ে, আমরা চলে যাবো’।
তবে কিছুদূর যাওয়ার পর অটোরিকশা থেকে নেমে যায় তারা। এরপর গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভয় দেখিয়ে, বড়াগাবুয়ার ‘খলিল খানের’ পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে। সেখানে মারুফ ওই কিশোরীকে নানারকম ভয় দেখায়। রাতে কয়েকবার ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর তাকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে সে। পরে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানির ভয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কিশোরীকে, তার বাবার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে মারুফ পালিয়ে যায়। এ সময় মারুফ ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে শাসিয়েও যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মারুফের বাবা ফেরদাউস আকন বলেন, আমার ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার রাতেও আমার ছেলে বাড়িতে ছিল। কী ঘটেছে, আমি তা জানি না।
ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, ভিকটিমকে (ভুক্তভোগী) উদ্ধার করে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে, অভিযুক্ত মারুফকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।