চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংস শেষেই জানা হয়ে গিয়েছিল, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা হচ্ছেনা পাকিস্তানের। সেমিফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্য পাকিস্তানকে পেরুতে হতো ৬.৪ ওভারে। অসম্ভব সেই সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে তাই বিশ্বকাপ মিশনকে গুডবাই বলতে হয়েছে বাবর আজমদের। এরপরের লক্ষ্য ছিল ন্যূনতম জয়।
শেষ ম্যাচে স্বান্তনার জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে হয়নি সেটিও। ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে। তবে পাকিস্তান এটুক স্বান্তনা পেতে পারে, অন্তত আফগানিস্তানের নিচে নামতে হয়নি তাদের।
১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাবার পর নিশ্চিত হয়েছে আফগানদের উপরে থেকেই বিশ্বকাপ শেষ করছে তারা। যদিও ম্যাচটা পাকিস্তান হেরেছে ৯৩ রানে।
৩৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঠিক যেমন শুরু দরকার ছিল, তেমনটা পায়নি পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই আব্দুল্লাহ শফিক ফিরে গিয়েছেন। বিশ্বকাপের পরেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ডেভিড উইলি। সে হিসেবে আজ তার শেষ ম্যাচ। আর তিনি সেটা স্মরণীয় করে রাখলেন প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে।
আশা ভরসার প্রতীক ছিলেন ফখর জামান। আগের দিন অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় এই ব্যাটারের উপরেই নির্ভর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন বাবর আজম। হতাশ করেছেন তিনিও। ৯ বলে ১ রান করে উইলির দ্বিতীয় শিকার হন ফখর। এরপরে জুটি গড়েছেন পাকিস্তানের দুই বড় ভরসা বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু এই জুটিও আশার আলো দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রান তোলার পরেই দলীয় ৬১ রানে ফিরে যান বাবর। গাস অ্যাটকিনসনের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
দলের রান যখন ঠিক ঠিক ১০০ তখনই মঈন আলীর বলে বোল্ড হন রিজওয়ান। পাকিস্তানের পরাজয় ততক্ষণে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। এরপর সৌদ শাকিলের ২৯ রান পাকিস্তানকে দিয়েছে সাময়িক স্বস্তি। ইফতিখার আহমেদ ফিরেছেন ৩ রানে। শাদাব খানও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মঈন আলী আর রশিদ খানের ঘূর্ণিতে তখন দিশেহারা পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ক্রিজে ছিলেন সালমান আগা। তার পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের ৫ম স্থান। উইলির তৃতীয় শিকার হয়ে সালমান ফিরে গেলে পাকিস্তানের পরাজয় হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার।
শেষে এসে অবশ্য পাকিস্তানের দুই বোলার হারিস রউফ আর ওয়াসিম জুনিয়র শুরু করেন নতুন এক ঝড়। ৩৩ বলেই ৫৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেন এই দুই বোলার। তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তান ম্যাচ হেরেছে ৯৩ রানের ব্যবধানে।