বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করার জন্য পরিচালিত হয়েছে বিশেষ অভিযান, যেখানে ৪টি অবৈধ কয়লা চুল্লী স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। চোরাইভাবে বনের গাছ ব্যবহার করে চলা এই চুল্লীগুলি পুড়িয়ে পরিবেশে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছিল। অভিযানে পাওয়া গেছে যে, এসব চুল্লী বেশ কিছুদিন ধরে বনের গাছ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করছিল এবং এর ফলে স্থানীয় এলাকায় বনভূমি উজাড় হওয়ার পাশাপাশি মানবিক স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি তৈরি হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়। স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব অবৈধ চুল্লী স্থাপনার মালিক ফজলুর রহমানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই এসব অবৈধ চুল্লীর জন্য ভুগছিলেন। তারা জানিয়েছেন যে, একেকটি চুল্লীতে প্রতি সপ্তাহে ২০০-৩০০ মণ গাছ পুড়ানো হতো। এর ফলে একদিকে বনভূমি উজাড় হচ্ছিল, অন্যদিকে সেগুলির ফলে শিশু, বৃদ্ধ ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ছিল।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, অবৈধ চুল্লী ধ্বংস হওয়ার ফলে পরিবেশ কিছুটা পরিপূর্ণ হচ্ছে এবং তারা এই ধরনের পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রমের অবসান চাইছেন।
বরগুনা জেলার টিভি রিপোর্টার জিয়াদ মাহমুদ বলেন, “আমরা পেশাগত কাজে বিষখালী নদীর তীরে এসব অবৈধ চুল্লী দেখতে পেয়ে স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানিয়েছিলাম। এর পরপরই পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালায়।”
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন জানান, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে, অবৈধ চুল্লীগুলিকে আইনানুগভাবে ধ্বংস করি।” তিনি আরও বলেন, “বৈধভাবে এসব চুল্লী ও ইটভাটা বন্ধের জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসন আরও অভিযান চালাবে।”
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম