শিরোনাম

বরগুনায় ছেলের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মায়েরও

Views: 27

বরিশাল অফিস :: কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গন্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছেলে আলম হাওলাদারের মরদেহসহ মা পুষ্প বেগম রোববার সকালে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশে।

ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কের বরগুনার আমতলী উপজেলার ডাক্তার বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা পুষ্প বেগম ও মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার।

নিহত মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদারের বাড়ি আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আনসার সিকদার।

রোববার (৩০ জুন) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। আমতলী ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে।

পুষ্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, ‘আমার ভাগনে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায়। ভাগ্নের মরদেহ নিয়ে পুষ্প বেগম বাড়ি ফিরছিল। পথে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে আমার বোন মারা গেছেন। আমার বোনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তরের দাবি জানাই।

নিহত মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদারের স্বজন নাশির উদ্দিন নশা মৃধা বলেন, ‘আমতলী থেকে বাড়ি যাচ্ছিল রুবেল। পথে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে সে।’

বরগুনা আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুটি মরদেহসহ তিনটি মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাজী সাখাওয়াত বলেন, দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায় ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুড়চে যায়। মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত আলম হাওলাদার ও তাঁর মা পুষ্প বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *