বরগুনায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে আবারও অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ছয় দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার (১ ডিসেম্বর) ছাত্রীর বাবা বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন:
সিরাজুল (২০): বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী গ্রামের মো. বাদলের ছেলে।
রফিক (২৩): আবদুল কাদের হাজির ছেলে।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে সিরাজুল মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। পরিবার প্রতিবাদ জানালে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিরাজুল তার সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ছাত্রীকে ২৭ দিন পর উদ্ধার করে।
এরপর, ২৭ নভেম্বর বিকালে ছাত্রী বাড়ির পাশের রাস্তায় ঘুরতে গেলে সিরাজুল ও রফিক তাকে খুনের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
ছাত্রীর বাবা জানান, “আমার মেয়েকে আড়াই মাস আগে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে। ডিবি পুলিশ উদ্ধারের পর হেফাজতে দেওয়া হলেও আবারও অপহরণ করা হয়েছে। মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিশ্বাস, আসামিরা আমার মেয়েকে আটক রেখে নির্যাতন করছে অথবা হত্যা করে লাশ গোপন করেছে। আমরা জানি না, সে জীবিত নাকি মৃত।”
তবে, বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এ ব্যাপারে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই গ্রহণ করতাম। বাদীর অভিযোগ সত্য নয়।”
সূত্র : যুগান্তর