শিরোনাম

বরগুনায় সেতুটি এখন গ্রামের ১০ হাজার মানুষের আশীর্বাদ

Views: 61

বরিশাল অফিস:: বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করুনা গ্রামের তালবাড়ি খাল পারাপারে সেতু নির্মিত হওয়ায় এলাকার জনদুর্ভোগ কমেছে।

সেতু নির্মাণের আগে কাঠের ভাঙা সেতু দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করতেন।
নতুন সেতু নির্মিত হওয়ায় এলাকায় জনসাধারণের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এক সপ্তাহ আগে সেতু সংলগ্ন সংযোগ সড়ক এবং রং তুলির কাজ শেষ হওয়ায় মনোমুগ্ধ দৃশ্যতে পরিণত হয়েছে সেতুটি। স্থানীয় দশ হাজার জনসাধারণ এখন এ সেতুকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য পরিবহন ও মানুষের যাতায়াতের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের বেতাগী উপজেলার করুণা গ্রামের তালবাড়ি খালের ওপর সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৯ টাকা।

সেতুটি বরগুনার পরীর খালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহ নেওয়াজ সেলিম ২০২২ সালের ১৫ মার্চ এ কাজটির কার্যাদেশ পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাসময় সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করেছে। দুই সপ্তাহ আগে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক এবং এক সপ্তাহ আগে রং তুলির কাজ শেষ করেছে। এতে নতুন করে সেজেছে সেতুটি এবং চলাচলের দুর্ভোগ কমেছে এখানকার মানুষের।

সেতু নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয়রা গ্রাম থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে বেতাগী পৌর শহর, মোকামিয়া মাদরাসা ও মোকামিয়া মাদরাসা বাজারসহ আশপাশের এলাকার মানুষ অতি সহজে চলাচল করতে পারছেন। সেতু নির্মাণের আগে জনদুর্ভোগের চরম পর্যায়ে থাকলেও বর্তমানে সেতু এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় করুণা গ্রামের মানুষের জনদুর্ভোগ কমেছে। মোকামিয়া ইউনিয়নের করুনা গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে।

করুণা গ্রামের বাসিন্দা রুস্তুম আলী সিকদার বলেন, তালবাড়ি সেতুটির দক্ষিণ পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন স্বস্তিতে নামাজ পড়তে আসতে পারছে।

বেতাগী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিএম অলিউল ইসলাম বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিতে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে যথাসময় সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এলাকার মানুষের জন্য মঙ্গল হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *