শিরোনাম

বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজে জনদুর্ভোগ বাড়ছে

Views: 45

বরিশাল অফিস :: বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজে প্রতিদিন জটলা, জনদুর্ভোগ বাড়ছে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজে প্রতিদিন জটলা থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। পথচারীরা এ ব্রিজটি দিয়ে ঠিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। সবজি ব্যবসায়ী ও হকারদের সামনে কয়েকজন ক্রেতা দাঁড়ালেই ব্রিজটিতে পুরো জটলা বেঁধে যাওয়ার দশা হয়। বিগত সময়ে এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেও সফল হয়নি। ঘুরে-ফিরে সেই আগের অবস্থায় ফিরেছে ব্রিজের পরিস্থিতি।

সম্প্রতি বরগুনা শহরের মাছ বাজার- লাকুরতলার পথচারীদের পারাপারের জন্য ব্যবহৃত ‘ডিসি ব্রিজ’ ঘুরে দেখা যায়, ব্রিজটির দু’পাশে অবৈধভাবে দখল করে বসেছে অনেকগুলো হকার দোকান ও কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা। সেখানে ওজন মাপার যন্ত্র, নামাজ পড়ার টুপি, আতর, তসবি থেকে শুরু করে মোজা-গেঞ্জি, শার্ট, ব্রাশ, এমনকি শাক- সবজি, ডিম, খেজুর, খেজুরের গুড়সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন হকাররা। এসব দোকানের কারণে পথচারীরা ব্রিজ দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা, সহজে হাঁটতেই পারছেন না।

এই ব্রিজ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একদম সকাল ও দুপুরে ব্রিজটি দিয়ে একটু হাঁটা যায়। কিন্তু বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হকারের ভিড়ের জন্য এখান দিয়ে একদমই হাঁটা যায় না। একটি মহল এখানে দোকান বসিয়ে হকারদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছে এবং অবৈধ এ ব্যবসা পরিচালনা করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, এতো পুরোনো গল্প! আমরা বহুবার এ বিষয়ে নিউজ করেছি। ডিসি ব্রিজটি অনেক সুন্দর, অথচ কতো নোংরা বানিয়ে রাখা হচ্ছে এর দু’পাশে। সবজি ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও তারা এখানে এসে বসবেই! আমি মনে করি যে বরগুনা শহরে চলাচলের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে ব্রিজটির দু’পাশ থেকে হকার, সবজি ব্যবসায়ী ও রিক্সাস্ট্যান্ড সরাতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।

পুলিশ ইন্সপেক্টর (ট্রাফিক বিভাগ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিদিনই ওদেরকে ধাওয়া দেই, তবুও তারা এখানে এসে বসে। আজকে আবারও ব্যবস্থা নিব। আমরা সব সময় বরগুনা শহরকে সুন্দর রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বরগুনা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, বরগুনা মাছ বাজার সংলগ্ন লাকুরতলা ডিসি ব্রিজটি ঠিকভাবে চলমান রাখতে প্রশাসনকে বারবার বলা হচ্ছে। তারাই ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। পৌরসভা থেকে লোক দেওয়া আছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। আমরা সবাই মিলে এই ব্রিজে চলাচলের সঠিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা বলেন, আমি বরগুনায় জয়েন করার পরেই এই জায়গাটিতে কয়েকবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছি। তবুও তারা কথা শুনছে না। এখন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদের পিছনে যদি কোনো কুচক্রী মহল কাজ করে থাকে, তাহলে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ওই যাতায়াতের পথটির সঠিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনব।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *