প্রায় ২৩ দিন আটকে থাকার পর বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দাড়িয়াল গ্রামে হিমালয়ান প্রজাতির এক শকুন মুক্ত আকাশে ডানা মেলেছে। রবিবার দুপুরে এই শকুনটিকে স্যাটেলাইট ট্যাগসহ আকাশে অবমুক্ত করা হয়, যা এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়ক হবে।
গত ৩০ নভেম্বর, শকুনটি উত্তর দাড়িয়াল গ্রামে মুদি দোকানি মো. সোলায়মানের ঘরের ছাদে এসে পড়ে। সোলায়মান শকুনটিকে উদ্ধার করে একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে রেখে তাকে যত্ন দেন। শকুনটির খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, যা নিশ্চিত করা হয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে। সোলায়মান প্রতিদিন শকুনটিকে মুরগি খেতে দেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্র নাথ হালদার জানান, শকুনটি হিমালয়ান গৃধিনী প্রজাতির এবং এটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শকুনটির পক্ষে সেবা দেওয়া হলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।
ঢাকা থেকে আসা আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংঘের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজী জেনিফার আজমিরি বলেন, “শকুনটি সম্পূর্ণ সুস্থ। এটি হিমালয়ান গৃধিনী প্রজাতির এবং এর ওজন সাড়ে সাত কেজি। এটি পুরোপুরি প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি।” তিনি আরও বলেন, শকুনগুলো সাধারণত হিমালয় থেকে মাইগ্রেট করে বাংলাদেশে আসে। তবে, দক্ষিণাঞ্চলে খুব কমই দেখা যায়। শীতের শেষে শকুনগুলো আবার ফিরে যায়।
জেনিফার আজমিরি আরও বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে খাবার সংকট রয়েছে, কারণ মরা গরু মাটিতে চাপা দেওয়া হয়। এর ফলে শকুনগুলোর খাবারের অভাব দেখা দেয়, এবং তারা মানুষের কাছে আসতে বাধ্য হয়। এই শকুনটি সুস্থ অবস্থায় ফিরে যাবে, আর তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো হয়েছে।”
মুক্তি পাওয়ার পর শকুনটি আকাশে উড়তে শুরু করে, এবং এখন তার চলাচল পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম