শিরোনাম

বরিশালে কমেছে আলুর দাম

Views: 56

বরিশাল অফিস :: দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে ভারত থেকে আলু আমদানীর খবরে বরিশালের বাজারে কমেছে অতিপ্রয়োজনীয় সারাবছরের সবজি আলু দাম। দেশের উৎপাদিত নতুন আলুর দামও ভারত থেকে আমদানির খবরের দাপটে কমেছে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারতের আমদানিকৃত আলু এখনও বরিশালের বাজারে না আসলেও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৭/৮ টাকা কমেছে পাইকারী বাজারে। খুচরা বাজারে যে আলু গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা সোমবার তিন কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সোমবার নগরীর একাধিক আড়তদার জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাস থেকেই অন্যান্য পণ্যের ন্যায় একবারেই নিয়ন্ত্রনের বাহিরে ছিল অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আলু। অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিল যে, নতুন আলুর কেজি পাইকারী বাজারে বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা খুচরা মূল্য ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। এরপর কিছুটা দাম কমলেও তা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকার নিচে নামতে দেখা যায়নি। এরপর দেশের উৎপাদিত আলুর যোগান বাজারে আসলে ১৫/২০ দিন আগে এই দর পাইকারীতে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায় আসে এবং খুচরা বাজারে চলে আসে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়।

পাইকারী ব্যবসায়ীরা আরো জানান, দেশের বগুড়া ও জয়পুরহাটের আলু গত সপ্তাহে প্রতি কেজি সর্বশেষ ৩২/৩৩ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে আলু আমদানির পূর্বাভাসে ক্রমেই এই দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরের পাইকারী আলু সোমবার এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ থেকে ২৬ টাকায়। এই আলু খুচরা বিক্রেতারা সর্বোচ্চ ৩২ থেকে ৩৩ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন।

সোমবার সকালে নগরীর নতুন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, রোববার থেকে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রনে এসেছে। এ বছরের নতুন আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও রোববার থেকে সেই আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এতে সাধারণ ক্রেতারা বেজায় খুশি। সোমবার সকালে ক্রেতা মিরাজ হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন পর অতিপ্রয়োজনীয় আলুর দাম কমেছে। তিন কেজি আলু একশ’ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। তিনি আরও বলেন, হঠাত করে দাম কমলেই হবেনা, আলুর দাম যেন পুনরায় আর না বাড়ে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *