বরিশাল অফিস :: মা ইলিশ সংরক্ষণ ও নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শনিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে। দেশের উপকূলীয় ৭ হাজার ১৩৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ইতোমধ্যে বরিশালের জেলে পল্লী ও মৎস্য আড়তগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা শুরুর ঠিক আগে বরিশালের পোর্ট রোডের পাইকারি এবং খুচরা বাজারগুলোতে ইলিশ বিক্রির শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা দেখা গেছে। শনিবার দিনভর ইলিশের বেচাকেনা ছিল জমজমাট, এবং দামও নিকট অতীতের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
তবে রবিবার ( ১৩ অক্টোবর) সরজমিনে দেখা গেছে, পাঙ্গাস মাছের বিক্রি বেড়ে গেছে। ইলিশ না থাকায় ক্রেতারা এখন বিকল্প হিসেবে পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছের দিকে ঝুঁকছেন। মোকামগুলোতে পাঙ্গাসের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও দাম কিছুটা বেশি থাকছে, কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সীমিত।
বরিশাল জেলা মৎস পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র মালিক সমিতির কোষাধাক্ষ মো. ইয়ার উদ্দিন শিকদার জানান,নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশের অভাবের কারণে বাজারে পাঙ্গাস মাছের চাহিদা বেড়েছে, ফলে দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা ইলিশের বিকল্প হিসেবে পাঙ্গাসের দিকে ঝুঁকছেন, যা বাজারে এর দাপট বাড়াচ্ছে।
বরিশাল অঞ্চলের ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩০ জেলে পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৯৫ টন চাল।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মৎস্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী অভিযান পরিচালনা করবে। নিষেধাজ্ঞা পালনে কঠোর নজরদারি করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।