বরিশাল অফিস:: মজানের ঈদ মানেই নতুন কাপড় কেনার ধুম। কেনা কাপড়ের পাশপাশি ঈদে চাহিদার তুঙ্গে থাকে বানানো কাপড়ের। নিজস্ব মাপ ও ডিজাইন করে নিজের পোশাক বানিয়ে নেওয়া যায় বলেই দর্জির কদর একটু বেশিই।দর্জিদেরও নেই দম ফেলার ফুসরত। একের পর এক কাজ করে চলেছেন দেদারসে। ইতিমধ্যে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করেছ অনেক দোকান।
সরেজমিনে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন জায়গার টেইলার্সগুলোতে ঘুরে এই অবস্থা দেখা যায়।টেইলার্সগুলোতে মেশিনগুলো চলছে বিরামহীন। কেউবা জামা, পাঞ্জাবি কাটছেন। কেউ ডিজাইন করছেন আবার কেউ দিচ্ছেন সেলাই। অনেকেই লাগাচ্ছেন বোতাম এবং কেউ কেউ করছেন লন্ড্রি। কারও সময় নেই কোনোদিকে তাকানোর। দোকানের মালিকরা ব্যস্ত অর্ডার নিতে। গ্রাহকদের দেখাচ্ছেন নতুন ডিজাইন, বুঝিয়ে দিচ্ছেন হয়ে যাওয়া কাজ। দর্জির হাতের ছোঁয়াতে একটি কাপড় রূপ নিচ্ছে নান্দনিকভাবে।মেয়েদের কাপড়ে সেলাইয়ের জন্য এক এক টেইলার্সে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন দাম। জামা ৩০০-৫০০, গাউন ৮০০-১০০০ টাকা, সুতি থ্রিপিছ ৩০০-৫০০ টাকা, জরজেট থ্রিপিছ ৫০০-৭০০ টাকা।
এ ছাড়া, ডিজাইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয় দাম। নগরীর কাটপট্টি এলাকার এ্যারো নামক লেডিস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী আল আমিন সিকদার বলেন, আমাদের এখন অনেক কাজের চাপ। কাজের অর্ডারও ভালো হচ্ছে। সেলাইয়ের দাম আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। ডিজাইন ও কাপড়ের মান বেধে দাম আলাদা হয়ে থাকে।তিনি আরো জানান, আমাদের কাজের চাপ এখন বেশি। খুব বেশি অর্ডার নিচ্ছি না, কাজগুলো ঠিকঠাক করে গ্রাহকের হাতে দিতে পারলেই শান্তি।
তবে তিনি জানান, ইচ্ছে না থাকলেও ২৫ রমজান পর্যন্ত পর্যন্ত অর্ডার নিতে হবে। কেনা কাপড়ের চেয়ে বানানো কাপড়ের প্রতি আগ্রহ কেন জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, কেনা কাপড়ের চেয়ে বানানো কাপড় ভালো হওয়ার কারণ হচ্ছে ইচ্ছেমতো কাপড় বানিয়ে নেওয়া যায়।
ডিজাইন ও কাপড় নিজে চয়েজ করে কাপড় বানানো যায় বলেই বানানো ড্রেস ভালো। এদিকে নগরীর পুরুষদের পোষাক তৈরির টেইলার্স ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি ও কাবলি ড্রেসের পোষাক তৈরির অর্ডার বেশী হচ্ছে। কাজের চাপে অনেক টেইলার্স অর্ডার নেয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।দোকানীরা জানান, সেহরির আগ পর্যন্ত তারা কাজ করছেন। চাপ সামলাতে তারা অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।