বরিশাল অফিস :: উচ্ছেদের বছর পেরোতে না পেরোতেই ফের রাস্তার পাশের জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে যানজটের ভোগান্তি বেড়েছে বরিশালে শহরে।
প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব জমি ফের দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। সূত্রমতে, যানজটের ভোগান্তি কমাতে গত বছরের অক্টোবর মাসে বরিশাল নগরীর সাগরদী, রূপাতলী ও দপদপিয়া এলাকায় রাস্তার পাশের প্রায় সাতশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলো প্রশাসন। এতে প্রায় ৩০ একর জমি উদ্ধার হয়েছিলো। তবে বছর না গড়াতেই অধিকাংশ জমিতে আবারও গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সাধে ফিরেছে যানজটের ভোগান্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উচ্ছেদের কিছুদিনের মধ্যেই সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রাফিক বিভাগের মূল কাজ হলো যানজট নিরসন করা। অথচ রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনার জন্য যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। বাস চালক যারা রয়েছেন তারা সময় মেনে চলতে পারছেন না। মারাত্মক যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে সামনে এগোনোর কোনো উপায় থাকে না। উচ্ছেদের পর পরই আবার দখল হয়ে গেছে রাস্তার পাশের জমি।
বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, আমরা বাস মালিক সমিতি থেকে বার বার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করি। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ও তাদের সহযোগিরা উচ্ছেদ হওয়া জমি আবার দখল করে নেয়। এরা দখল করা জমিতে দোকান নির্মান করার সুযোগ করে দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন। যেকারণে যাত্রী সেবা দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উচ্ছেদ পরবর্তী জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সড়ক বিভাগের। আর সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেছেন, সবার সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ দখলদারদের ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
সার্বিক বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা বিভাগের জমি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তবে যাদের জমি উদ্ধার করে দেওয়া হয় তাদেরকেও পরবর্তী করণীয়গুলো করতে হবে যাতে পুনরায় জমি অবৈধ দখল হয়ে না যায়।
বরিশাল সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ খান বলেন, বরিশালের ১৬শ’ কিলোমিটার সড়ক একা আমাদের পক্ষে তদারকি করা সম্ভব নয়। এরজন্য সবার সহায়তা দরকার। তবে উচ্ছেদের পর আবার দখলের নেপথ্যে সড়ক বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।