বরিশাল অফিস :: এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পরে খুলেছে বরিশালের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রোববার (১৮ আগস্ট) সারা দেশের সঙ্গে নির্ধারিত সময়েই চালু হয়, তবে প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ঘুরে দেখা গেছে, ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত। তবে অনেকেই বলছেন, পাঠক্রমে পিছিয়ে পরার কথা।
বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাহমিনা কবির মিম জানান, অনেক দিন পর স্কুলে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। স্কুলে এসে বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। তবে এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারি নাই। যার ফলে অনেকটা পিছিয়ে গেছি। যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেকদিন বন্ধ ছিল, এখন আমাদের বাড়তি ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে ভালো হবে।
বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. নেসার জানান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। প্রথম দিন হওয়ায় হয়তো শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল। তবে সামনের দিনগুলোয় এর সংখ্যা আরও বাড়বে। যেহেতু অনেকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল তাই পড়াশোনায় অনেক ঘাটতি পরেছে, যাতে করে বাড়তি ক্লাস করিয়ে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করে দ্রুত পরিক্ষায় বসানো যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, বিদ্যালয় চালুর প্রথম দিনেই আশাব্যাঞ্জক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আমি বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, গড়ে ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম দিনেই ক্লাসে ফিরেছেন। বাকি শিক্ষার্থীরা দু-এক দিনের মধ্যে ফিরবেন। মাঝখানে ক্লাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। আমরা পরিকল্পনা করছি, কীভাবে সেই অবস্থা পূর্ণ করা যায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে, বুধবার (১৪ আগস্ট) চালু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়।