বরিশালে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়েছেন। একদিকে গ্রেপ্তার আতঙ্ক, অন্যদিকে আত্মগোপন করে থাকা নেতাদের অনুপস্থিতিতে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা নানা কারণে অদৃশ্য হয়ে গেছেন, যার ফলে তৃণমূলের কর্মীরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, আবার অনেকে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। যারা পালাতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই আত্মগোপনে আছেন। রাজপথে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় নেতাকর্মীরা এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। একসময় যারা ক্ষমতার রশিতে শক্তভাবে ঝুলে ছিলেন, তারা এখন নিজেদের রক্ষা করতে ব্যস্ত।
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক নেতা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমিদখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তবে সরকারের পতনের পর তারা খুবই অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, বরিশালের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, যিনি তার ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান, সেই সময় থেকে বরিশালের রাজনৈতিক মাঠে এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, এবং বেশ কিছু এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতারা পালিয়ে গেছেন বা আত্মগোপনে আছেন। শুধু বরিশাল নয়, পুরো দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বর্তমানে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
এদিকে, যারা দেশ থেকে পালাতে চেষ্টা করেছেন তাদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এর মধ্যে notable figures যেমন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল-২ আসনের এমপি রাশেদ খান মেনন, এবং সাবেক এমপি মো. শাহে আলম তালুকদার রয়েছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা এসব পরিস্থিতিতে খুবই হতাশ। তাদের কেউ কেউ বলছেন, “কীভাবে নিজেদের নিরাপদ রাখব জানি না। একসময় আমরা শুধু নেতাদের আদেশ পালন করেছি, আর এখন তারা টাকা ও সম্পদ নিয়ে পালিয়ে আছেন, আর আমরা তাদের জন্য ভয় পেয়ে দিন পার করছি।”
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম