বরিশাল অফিস :: বরিশাল নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে চালু হয়েছে পারিবারিক সাশ্রয় বাজার।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডে এ বাজারে বেচা বিক্রি শুরু হয়।
খোলা বাজারে যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে কম দামে এখানে পণ্য পাওয়া যায়। যার কারণে প্রথম দিনেই এ বাজার সাড়া ফেলেছে ওয়ার্ডবাসীদের মাঝে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন সিকদার জানান, এই বাজারে পণ্যের মূল্য এমন হবে যেন একটি পরিবারের মাসে কম করে হলেও ৩ হাজারের বেশি টাকা সাশ্রয় হয়। সেই হিসাব করেই পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমার লক্ষ্য বা ইচ্ছা হলো সাশ্রয়ের পাশাপাশি মানুষকে ফ্রেস খাবার খাওয়ানো। সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।
আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে পুরো বরিশালে এই সাশ্রয় বাজার ছড়িয়ে দেব।
তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাকার মোহাম্মদপুরে সাশ্রয়ী বাজার চালু করেছিলেন। সেটাই আমার প্রেরণার উৎস। আমি তাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে তখন থেকেই মাথায় নিয়েছি বরিশালে এই বাজার চালু করার বিষয়ে। আপাতত আমার নির্বাচিত এলাকা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু করলাম। ভবিষ্যতে গোটা নগরে ছড়িয়ে দেব। সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো একটু ভাল থাকুক এটাই আমার এই প্রচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য।
বাজারের মাংস বিক্রেতা মো. সুমন জানান, প্রথম দিনে জুম্মা নামাজের পর বিক্রি শুরু হয়। বিকেল চারটার মধ্যে ১৪০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। বাজারে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৭৮০ টাকা। কিন্তু তারা বিক্রি করেছেন মাত্র সাড়ে ৬শত টাকা দরে।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ছেলেকে কোচিং থেকে নিতে এসে পাশের বাজারের আসেন। এক কেজির গরুর মাংসের দাম মাত্র সাড়ে ছয়শ টাকা দেখে আড়াই কেজি কিনে নিয়েছেন।
বাজার পরিচালনায় থাকা মো. ফেরদৌস জানালেন, এ বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাক সবজি, ফল ও মুদী মালামালসহ একটি পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্য রয়েছে। অন্যান্য বাজারের চেয়ে এখানে কম দাম। এ বাজারের পণ্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে আনা হয়। গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে গরু কেনা হবে।
পারিবারিক সাশ্রয় বাজারের প্রবেশ মুখে টানানো রয়েছে পণ্যমূল্যের তালিকা ও অন্যান্য বাজারের একই পণ্যের মূল্যে। সেই তালিকায় দেখা গেছে, অন্যান্য বাজারে কোরাল মাছ প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই মাছ পারিবারিক সাশ্রয় বাজারে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। এ বাজারের প্রতি কেজি গাজর ২৫ টাকা, টমেটো ৫০, লেবু হালি ৪৫, কাচা মরিচ ৬০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, চাল ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮, বেশন ৯৫ টাকা, ছোলা ১০৫, চিনি ১৩৮, সায়াবিন ১৬৪, আদা ১৮০, রসুন ১৯৫, দেশি রসুন ১৩০, পেঁয়াজ ৭২, আলু ৩০, পাবদা মাছ ৩৩০, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা ও চিংড়ি মাছ সাড়ে ৭শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।