সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় প্রদান করেন। বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক দুই মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, ২০১২ সালের ৫ জুন আহতী বাটরা গ্রামের বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে গরু তাড়াতে যায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু। ক্ষেতের পাশে থাকা রজত শিশুটির মুখ চেপে ধরে পাশের পাটক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন রজত। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে বাবা এসে তাকে উদ্ধার করে।
অপরদিকে ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল উজিরপুরে ৯ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যান দণ্ডিত দোকানী আবুল হোসেন বালী। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় এক ক্রেতা এসে দোকানী আবুলকে না পেয়ে পেছনে উঁকি দিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করতে দেখে মাদরাসায় গিয়ে জানান। পরে মাদরাসার শিক্ষকরা গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় মামলা করেন। থানার এসআই হুমায়ুন কবির একই বছরের ২৩ জুন আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক ৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন।