পটুয়াখালী প্রতিনিধি: ধর্ষণ মামলার আসামি মোঃ সুমন হোসেনকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৮, সদর কোম্পানী, বরিশাল এর একটি যৌথ দল ২৭ তারিখ বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে বাউফলের নূর ইসলামের ছেলে সুমনকে আটক করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন ভাংরা গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ জান্নাতুল আক্তার তানজিলা (১৮) এর সাথে আসামি মোঃ সুমন হোসেন (১৫), পিতা- নূর ইসলাম, সাং- বেতাগী, থানা- দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালী এর বিবাহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পরিচয় গড়ে উঠে।
একসময় পরিচয়ের মাধ্যমে সুঃসম্পর্ক তৈরী হলে আসামী মোঃ সুমন হোসেন বিভিন্নভাবে ভিকটিম জান্নাতুলকে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করে। নানা অপকৌশলে ভিকটিমকে আয়ত্বে নিতে ব্যর্থ হয়ে নিজে আত্মহত্যার ভয় দেখালে কোনো উপায় না পেয়ে ভিকটিম জান্নাতুল তার প্রেমে সাড়া দেয়। পরবর্তীতে আসামী সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম বাঁধা দিলে আসামী সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আসামী সুমন ভিকটিমকে ০১ সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং এই ঘটনা গোপন করতে বলে। কিন্তু এক সময় ভিকটিম জান্নাতুলের পিতা-মাতা আসামীর বাড়িতে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আসামী সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে বিয়ে করবে না বলে জানায় ও ভিকটিমের পরিবারকে নানা অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ভিকটিম জান্নাতুল বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পটুয়াখালী’তে একটি মামলা দায়ের করে যার পিটিশন মামলা নম্বর- ১৬৬/২০২৪, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) এবং পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার মামলা নং-১২, তারিখঃ ১৯/০৮/২০২৩, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)।
এ ঘটনা র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ ফেব্রুয়ারী র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র্যাব-৮, সদর কোম্পানী, বরিশাল এর যৌথ অভিযানিক দল বরিশাল জেলার সদর থানাধীন থানা কাউন্সিল এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।