বরিশাল অফিস: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীর এবং সংলগ্ন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে সংঘবদ্ধ চক্র। নদী তীর সংরক্ষণের ব্লকও তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে নদী ভাঙন তীব্র আকার দেখা দিয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী, চরকাউয়ার পামের হাট এলাকায় ফসলি জমি কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। এদিকে নগরীর ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন ব্লক তুলে ফেলায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়। সংশ্লিষ্টরা এ জন্য প্রশাসনকে দায়ী করে বলেছেন, কীর্তনখোলার তীর অরক্ষিত হওয়ায় পূর্বাঞ্চলের অভিশাপ নদী ভাঙন দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
বরিশালের সদর উপজেলা চরবাড়িয়া তালতলী নর্দীতে সকালে প্রতিদিন মাটি কার্টতে দেখেন আলম রায়হান তিনি জানান, কীর্তনখোলা তালতলী নদী তীরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে খাস জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ওই এলাকার ইটভাটা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই মাটি কেটে নিচ্ছে।
এদিকে নগরীর ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন কীর্তনখোলা তীরে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল সেখানকার ব্লক খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাঁধ ভেঙে ওই এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। একই খবর পাওয়া গেছে, লামছড়ি ও চরআবদানী এলাকায়।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান জানান, গত বছরও নদী তীরে মাটি কাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এবারও নদী ভাঙন রোধে একই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ জন্য কোন কোন স্থানের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।