দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও পরিবেশবান্ধব কাগজের তৈরি ঠোঙার কদর কিছুটা কমেছে। পলিথিনের সহজলভ্যতা এবং কম মূল্যের কারণে ক্রেতারা এখন সেগুলোকে বেশি পছন্দ করছেন। যদিও পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তারপরও ঠোঙার চাহিদা এখন অনেকটাই কমে গেছে। তবে বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো কিছু নারীরা ঠোঙা তৈরির কাজ করে জীবনধারণের জন্য।
বরিশালের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা পারুল বেগম জানান, তিনি ২০ বছর ধরে ঠোঙা তৈরির কাজ করছেন। তবে পলিথিনের জনপ্রিয়তার কারণে কাগজের ঠোঙার দাম বাড়লেও বিক্রি কমেছে। ঠোঙার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ, আটা, তুঁত সবকিছুর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রতি কেজি ঠোঙা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যার মধ্যে ১০-১৫ টাকা লাভ হয়।
তুলি বেগম, আরেক ঠোঙা কারিগর, জানান যে, চাহিদা বৃদ্ধি পেলে ঠোঙার উৎপাদন দ্বিগুণ বা ত্রিগুণ করাও সম্ভব। তবে, পলিথিনের বিস্তার ঠোঙার ব্যবসায় ক্ষতি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কিছু নারী পরিবারে সচ্ছলতা আনার জন্য ঠোঙা তৈরির কাজ করেন, যার মাধ্যমে তারা সংসারের খরচ বহন করতে সক্ষম হন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবেশবান্ধব কাগজের ঠোঙা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি সহজেই পচনশীল। পলিথিন মাটির নিচে চাপা পড়লেও সহজে পচে না এবং তা পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে।
তবে ক্রেতারা এখন সস্তা পলিথিন বা নেটের ব্যাগ বেশি পছন্দ করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঠোঙার ঐতিহ্য থাকলেও বর্তমানে পলিথিন এবং নেট ব্যাগের ব্যবহার প্রবণতা বেড়েছে।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম