শিরোনাম

বরিশালে পাইকারি বাজারে চালের দাম ২ টাকা কমেছে

Views: 40

বরিশাল অফিস :: বরিশালের পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমেছে। তবে খুচরা দোকানে এখনও চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরও ক্রেতা কম থাকায় চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। আগামী কয়েক দিনে চালের দাম আরও কমতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা।

গত শনিবার বরিশালের পাইকারি আড়ত ফরিয়াপট্টিতে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৬ টাকা, ২৮ বালাম ৫৪ টাকা এবং বুলেট চাল মোটা) বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। মোকামে দাম না কমলেও রবিবার ফরিয়াপট্টিতে মিনিকেট ৬৪ টাকা, ২৮ বালাম ৫২ টাকা এবং বুলেট চাল (মোটা) বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা কেজি দরে।

ফরিয়াপট্টির আড়তদার বিজয় সরকার বলেন, মিলাররা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ায়। মোকামে এখন পর্যন্ত চালের দাম কমেনি। বিক্রি কম থাকায় স্থানীয় আড়তদারা কেজিতে ২ টাকা করে কমিয়ে চাল বিক্রি করছেন। সরকার মিলারদের উপর চাপ সৃস্টি করলে চালের দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।

ফরিয়াপট্টির ব্যবসায়ী কালু সাহা জানান, প্রতি বছর আমাদের ৭ লাখ মেট্রিক চন চালের চাহিদা। প্রয়োজন ১৪ লাখ মেট্রিক টন। যতদিন বাজারে সরবরাহ দ্বিগুণ না হবে ততদিনে চালের দাম কমবে না। তিনি বলেন, এবার বন্যায় ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। মিলাররা সব ধান কিনে মজুত করে রেখেছেন। তারা ইচ্ছেমত দাম বাড়ায়। আমদানি না করা পর্যন্ত বাজারে চালের দাম কমবে না বলে মনে করেন তিনি।

ফরিয়াপট্টির আরেক ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিদিন মোকাম থেকে বরিশালের আড়তে অন্তত ২০ ট্রাক চাল আসে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের বিক্রি কমে গেছে। এ কারনে আড়তদাররা মোকাম থেকে চাল আনেন না। আজ মোকাম থেকে কোন চালের ট্রাক বরিশাল আসেনি।

এদিকে আড়তে চালের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা কমলেও খুচরা পর্যায়ে এখনও আগের মতো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাজার নিয়ন্ত্রণে বরিশালে গত কয়েকদিনে দেখা যায়নি কোন প্রশাসনিক অভিযান।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *