বরিশাল অফিস :: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মত দেশব্যাপী সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র- ছাত্রীরা।
সারাদেশে সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে তাদের বাধা না মেনে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে অবরোধ শুরু করে। সময় পুলিশ পিছু হাঁটলে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে । প্রায় ৫ ঘন্টা অবরোধ শেষে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়ক অবরোধের শুরুতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় সড়কের উভয় প্রান্তে যানবাহন আটকে যায়। ফলে সাধারণ যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। আর পণ্যবাহী গাড়িগুলো ও বাসগাড়ি সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরিন ইসলাম ফাহিম বলেন, সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে এবং সকল চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে তারা আন্দোলন করছে তারা। তাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে বাধ্য হবে তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কটি অবরোধ হলেই বরিশাাল-কুয়াকাটার পাশাপাশি বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়ছেন বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলার সাধারণ মানুষ। এ ভোগান্তি লাঘবে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আজকে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসড়ক অবরোধের কথা থাকলেও পুলিশ প্রথমে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বাঁধা দেওয়ার কে? এমন প্রশ্নও তুলেন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে।
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী মিজান হাওলাদার বলেন, আমাদের দাবি যতদিন না পর্যন্ত আদায় হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে কোন বাঁধাই আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সন্ধ্যা ৬ টায় মোমবাতি প্রোজ্জ্বলনের মাধ্যমে আজকের কর্মসূচি শেষ হয়েছে।
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, আজকে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছিলাম মহাসড়ক অবরোধ না করার জন্য। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাদের কর্মসূচি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছেন।
তারা প্রায় ৫ ঘন্টা ও মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরবর্তী তারা মহাসড়ক থেকে চলে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।