শিরোনাম

বরিশালে মাতৃভাষা দিবসের প্রভাতফেরিতে ইংরেজি ব্যানার

Views: 62

বরিশাল অফিস :: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ব্যানার নিয়ে প্রভাতফেরি করেছে বরিশালের একটি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওই ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে এটা তুচ্ছ বিষয়। বুধবার বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ব্যানার নিয়ে প্রভাতফেরি করে বরিশাল নগরীর জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নগরীর কলেজ রোড থেকে প্রভাতফেরি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে আসে। এ সময় শহীদ মিনার চত্বরে পৌঁছানোর পর ইংরেজি ব্যানার দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত অনেকে।

পরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত খোদ অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই অভিভাবক বলেন, স্কুলে এসে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার দেখেই আমরা আলোচনা করেছি যে এটা ঠিক হয়নি। কেন না যে বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম, সেই ভাষাকে একভাবে অপমান করা হয়েছে ইংরেজি ব্যানার দিয়ে প্রভাতফেরি করে।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক সুশান্ত ঘোষ বলেন, মাতৃভাষা দিবসে এমন কাজ নিজের ভাষাকে অপমান করার শামিল। রাষ্ট্রকে অপমান করা হয়েছে এমন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। বাংলা ভাষার অপমান যারা করেছে তারা নিজের মাকে অপমান করেছে। মূলত এসব স্কুল ব্যবসা করতে এসেছে। দেশের প্রতি এদের কোনো দায়িত্ব কর্তব্য নেই। গবেষক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, শহীদ দিবস তো বাঙালি জাতির ত্যাগের দিন। বাংলা ভাষার জন্য কত মানুষ শহীদ হয়েছে। ইংরেজি ব্যানার নিয়ে বাঙালিদের প্রভাতফেরি করা বাংলা ভাষাকে অপমান করার সমান। একজন ইংরেজি ভাষার মানুষ যদি ইংরেজি অক্ষরে লেখা ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারে এসে তার মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানায় সেটা একটা বিষয়। আর যদি বাংলা ভাষার মানুষ ইংরেজি ব্যানার নিয়ে শহীদ মিনারে আসে তাহলে বাংলাকে অপমান করা এবং শহীদদের অমর্যাদা করা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক বরিশালের সম্পাদক রফিকুল আলম, এটা বাঙালি জাতির সঙ্গে বেইমানি করা এবং ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। যারা শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিল তাদেরই উচিত ছিল ব্যানারটি ছিঁড়ে প্রতিবাদ করা। কারণ, এই ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, যারা এই কাজটি করেছে তারা ভাষার সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাছাড়া ওই প্রভাতফেরিতে থাকা শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বাংলা ভাষার ওপর।

এসব বিষয়কে তুচ্ছ হিসেবে দাবি করে জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান সালেহ মাহামুদ শেলী বলেন, আন্তর্জাতিক ভাষা তো ইংরেজি। তাই ইংরেজি ব্যানার নিয়ে প্রভাতফেরি করা হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *