বরিশাল জেলার গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি ‘মুজিবিয়ান বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের ৮৭ নেতাকর্মীকে খুঁজছে। জানা গেছে, এই ৮৭ জনকে বিভিন্ন পদে রেখে সংগঠনটির জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এই ৮৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগ অপরিচিত হলেও কিছু চিহ্নিত নেতাকর্মী হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। তবে, পরিচিতি কম হওয়ায় এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বর্তমানে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই করছে।
‘মুজিবিয়ান বাংলাদেশ’ এর বরিশাল জেলা কমিটি ৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু হুরায়রা মুহাম্মদ মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব উদ্দিন ইমরান এই অনুমোদন দিয়েছেন। অনুমোদনের প্যাডে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ধাঁচে লেখা রয়েছে ‘ত্যাগ-সেবা-ঐক্য’ এবং ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’। প্যাডে ওয়েব পেজের ঠিকানা এবং বরিশাল জেলা কার্যালয়ের নামও দেওয়া আছে, যা আগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ফেসবুক পেজে বরিশাল মহানগর কমিটির ১১ সদস্যের তালিকা পাওয়া যায়, তবে জেলা কমিটির তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বরিশাল জেলা কমিটিতে ৬৬ জন নেতাকর্মীর নাম পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই অপরিচিত। নতুন জেলা কমিটির সভাপতি মো. মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম। মহানগর কমিটিতে ২১ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান অনিক এবং মাজাহারুল ইসলাম শোভন মহানগর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এটি আসলে আওয়ামী লীগের মাঠে নতুন সাংগঠনিক শক্তি সৃষ্টি করার একটি পরিকল্পনা। এই কমিটিতে যোগ দেওয়া নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হলেও তাদের পরিচিতি কম। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখছে, কারণ এই নেতাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর কোনো মামলা হয়নি। তাদের পরিচয় এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও শিগগিরই সব তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ৮৭ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে, তবে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম