শিরোনাম

বরিশালে লঞ্চ দেরিতে পৌঁছানোয় ভাঙচুর

Views: 71

বরিশাল অফিস:: নির্ধারিত সময়ে ঘাটে পৌঁছাতে না পারায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসা এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে যাত্রীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯) রাত ৯টার দিকে মাঝ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দরে ভিড়লে পাঁচ যাত্রীকে আটক করে নৌ-পুলিশ। যদিও পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল।

তিনি বলেন, দুপুর ১টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চটি ছেড়ে আসে। লঞ্চ ছেড়ে আসার আগে যাত্রীদের জানানো হয়েছিল রাত ৮টার মধ্যে বন্দরে ভিড়বে। কিন্তু লঞ্চ নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেনি। তাই বিক্ষুদ্ধ যাত্রীরা ভাঙচুর চালান। লঞ্চটি রাত ১০টায় বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করলে, হামলার অভিযোগে পাঁচ যাত্রীকে নৌ পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সবার কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সুন্দরবন-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন বলেন, লঞ্চ ঘাটে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় কিছু যাত্রী ক্ষুব্ধ হন। তারা লঞ্চের মাস্টার ব্রিজে গিয়ে রাডারের গ্লাস, দুটি ফ্যান ভাঙচুর করেন। পরে তারা নিচে নেমে এসে টিকিট কাউন্টারের টেবিল-চেয়ার ভেঙে দেন। তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করে ফেলা হয়েছে।

এদিকে লঞ্চের যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে যে সময়ে ছাড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। ঢাকায়ও যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চের স্টাফদের ঝামেলা হয়। পরে নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ পৌঁছানোর কথা থাকলেও, ধীরে চালিয়ে বরিশালে পৌঁছাতে মধ্যরাত হয়ে যায়। এতে কিছু যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে মাস্টার ব্রিজে গিয়ে হট্টগোল করেন।

লঞ্চের মাষ্টার ব্রিজ কিংবা চালনা কক্ষের স্টাফরা জানান, প্রথমে একজন যুবক হট্টগোল বাঁধায়। তারপর তার ইন্ধনে ৬০-৭০ জন যাত্রী ব্রিজে হামলার চেষ্টা করেন। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং লঞ্চ আরও দ্রুতগতিতে চালাতে বলেন। এ সময় তারা ব্রিজের সামনের অংশ ঘিরে রাখেন। সামনে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এতে চরে আটকে যাওয়াসহ দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দেয়। শত অনুরোধ করার পরও তারা মাস্টারসহ সবাইকে মারতে যান এবং দুটি ফ্যান ও রাডারের গ্লাস ভাঙচুর করেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *