শিরোনাম

বরিশালে লাহারহাট লঞ্চঘাটে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ  

Views: 45

বরিশাল অফিস :: বরিশাল জেলার সদর উপজেলার লাহারহাট লঞ্চঘাটের প্রবেশ টিকিটে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের কারণে বিআইডব্লিউটিএ নদী বন্দর কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় মেসার্স রাত্রি এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মোঃ ইলিয়াস আহম্মেদ রাসেল নামে এক যুবকের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠে।

আজ (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ নদী বন্দর অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন লাহারহাট লঞ্চঘাটের সাবেক ইজারাদার ও মেসার্স রাত্রি এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মোঃ ইলিয়াস আহাম্মেদ রাসেন তিনি জানান, লাহারহাট লঞ্চঘাট সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পাঁচ টাকার টিকিট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা ( দশ টাকা) আদায় ও বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত টাকা নিয়ে হয়রানি করে থাকে বর্তমান ইজারাদারা।

আমি এর প্রতিবাদ হিসাবে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ পোর্ট অফিসার আঃ রাজ্জাক হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলেও আমাকে আজ (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে তার অফিসে ডাকেন। আমি এসে দেখি সেই জায়গায় লাহারহাট লঞ্চঘাটের বর্তমান ইজারাদার গোলাম কুদ্দুস মল্লিকের লোকজন ঘোরাঘুরি করে। আমি পোর্ট অফিসারের কক্ষে প্রবেশের সময় তারা আমাকে জিজ্ঞেসা করে আমি তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিয়েছি এটা বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকে। শুধু হুমকিতে থেমে থাকেনি পোর্ট অফিসারের সামনেই আমার উপরে ভাড়াটিয়া লোকজন মিলে হামলা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে অফিসের লোকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পড়ে আমি অফিস থেকে নিচে নেমে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে বসলে সাংবাদকর্মীরা ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইছে সে সময় আমি তাদেরকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বর্তমান ইজারাদার মোঃ গোলাম কুদ্দুস মল্লিকের ভাড়াটিয়া ধলু মোল্লা, ফরিদ মৃধা, সরোয়ার মৃধা, রাকিব মৃধা,লোকমান হোসেন, মনির মোল্লা, সুমন মল্লিক, তপু মল্লিকসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন মিলে আমার উপরে একাধিক বার হামলা করতে আসে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেয়৷ আমি দেশের মানুষের উপকার জন্য অন্যয়ের প্রতিবাদ হিসাবে অতিরিক্ত টাকার আদায় নিয়ে যদি এমন ভাবে ক্ষিপ্ত হয়। তাহলে এই দেশে গণতন্ত্র কোথায়? অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় যদি এধরনের হামলার শিকার হতে হয়। তাহলে একসময় সাহসী লোক আস্তে আস্তে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে হারিয়ে যাবে। আমি চাই ঘাট থেকে যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা অচিরেই বন্ধ করা হোক।

অভিযোগের বিষয়ে সরোয়ার মৃধা নামের এক যুবক বলেন, আমাদের কাছে বিআইডব্লিউটিএ’ কর্তৃপক্ষ টাকা পায়, সেই টাকা পরিশোধ করার সময় পোর্ট অফিসারের সামনে ড্রাইভারের সাথে কথা বার্তা বিষয় নিয়ে আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, লাহারহাট ঘাট থেকে একটি স্পিডবোট চালানোর জন্য কাগজপত্র তৈরী করে। আমরা তাদের একটি স্পিড বোট চলাচলের জন্য বলি কিন্তু রাসেল আহম্মেদ দশটি সিরিয়াল চায়। কিন্তু আমরা দশটি স্পিড বোট চলাচলের জন্য সিরিয়াল দিতে অস্বীকার করায় আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় লোকজন পাঠিয়ে ঝামেলা করে।

বিষয়টি শুনে সংবাদকর্মীরা ঘটনা স্থান বিআইডব্লিউটিএ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আ: রাজ্জাক হোসেনের অফিসে গেলে তাকে না পাওয়া। পরবর্তীতে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, আমার কাছে এখনো কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় নি।যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আইন অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *