বরিশাল অফিস :: হামলায় দুই বাস শ্রমিক আহত ও পরে তাদের তুলে নেওয়ার ঘটনায় দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের শ্রমিকরা। একপর্যায়ে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
শনিবার দুুপুরে তিনজন বাস শ্রমিককে মালিক সমিতির স্টাফ কর্তৃক মারধর করে তুলে নেওয়ার জেরধরে শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা-বরিশাল মহসড়কের দুরপাল্লার যানচলাচল কয়েক ঘন্টা বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে নথুল্লাবাদ থেকে অভ্যন্তরীন রুটের যানচলাচল। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরেছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের মাদারীপুরগামী একটি লোকাল গাড়ি মোটরসাইকেল চালককে সাইড নিতে হর্ন দিতেছিল। এসময় বাস মালিক সমিতির কয়েকজন স্টাফ এসে বাসটি সরাতে বলেন।
তারপরেও বাসটি না সরানোর কারণে মালিক সমিতির স্টাফরা ওই বাসের চালককে মারধর করে। এ ঘটনায় দুই শ্রমিক সৌরভ ও সাকিল মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে গেলে তাদেরকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে নেওয়ার পথে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পরলে দুই শ্রমিককে উদ্ধারের দাবিতে শ্রমিকরা একজোট হয়ে টার্মিনালের
ভেতর ও বাহিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শতাধিক শ্রমিক টার্মিনালের বাহিরে থাকা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে। একপর্যায়ে টার্মিনালের ভেতরের আসবাবপত্র এবং মালিক সমিতির কার্যালয় ভাঙচুরের চেস্টা চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
এ সময় প্রতিপক্ষ শ্রমিক নেতা ও কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা বাস টার্মিনালে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঘোষনা দেয় তুলে নেওয়া শ্রমিকদের না পাওয়া পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকবে।
বরিশাল জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি কাজী কবির হোসেন বলেন, নতুন কমিটিকে নাজেহাল করতে তুচ্ছ ঘটনায় একটি মহল শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে অরাজগতার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছেন।