এস এল টি তুহিন (বরিশাল): বরিশালের সবজি সংকটের সময় মূল্য বাড়লে সেই মূল্য পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরা বাজারে আর কমানো হয় না। তাই পাইকারি কম দামে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করায় ঠকাচ্ছে ক্রেতাদের। সাধারন ক্রেতারা মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাছ-মাংস কেনা কমিয়ে দিলেও এখন সবজিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বরিশাল সদর নগরীর রিকশা চালক মোজাম্মেল হক বলেন, সারা দিন রাত রিকশা চালিয়ে পাই ৫শত টাকা ,এ থেকে গাড়ি ভাড়া ২শত টাকা থাকে ৩শত টাকা। সকল চাহিদা পূরণ করে না সবজি কিনতে অয়, এহন সবজির বাজারে এসে দেখি দামে আগুন, মোগো মতো এমন নিম্ন আয়ের মানুষ কী খামু। সরকারের কাছে আবেদন জানাই যাতে সবজির বাজারের দামের দিকে যানি একটু চায় ।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বরিশালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটল প্রতি কেজি পাইকারি ৪০ টাকা মূল্য হলেও খুচরা বাজারে তা ছিল ৮০ টাকা, পাইকারি ৪০ থেকে ৫০ টাকার বেগুন খুচরা ১০০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কেনা মূলা ৬০ টাকা, ৫০ থেকে ৫৫ টাকার করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা,৮০ টাকা পাইকারি দরের কাঁচামরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। লাউ প্রতি পিস পাইকারি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, ৫০ থেকে ৬০ টাকা পাইকারি মূল্যের ফুলকপি খুচরা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। একটা সময় একটি পরিবারের ১০০ টাকার কাঁচাবাজার হলে চলে যেত সে খানে এখন সবজির ১ কেজি কিনতেই খরচা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সর্বনিম্ন এক কেজি পেপের মূল্য ৫০ টাকা ।
বরিশাল পোর্টরোড বাজারের সবজি বিক্রেতা মেহেদী হাচান বলেন, বাড়তি মূল্যে নয় যেমন দামে কিনি তেমন দামেই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করি। আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে তাদের কাছ থেকে সবজি চড়ামূল্য নিতে হয়। এজন্য বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হয় । এতে একমাত্র সাধারণ ক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশালের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র বলেন, সবজির বাজার বেশ কিছু দিন মনিটানিং ছিল আমাদের সবজির দাম কমে যাওয়ায় তা বন্ধ করা হয় । হঠাৎ করে এক ধরণের অসাধু সিন্ডিকেট আড়তদের কারণে সবজির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আজকে থেকেই আবাও বাজার মনিটারিং করে সবজির দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।