শিরোনাম

বরিশাল আদালতে স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটায় নৃশংসভাবে হত্যার দায় স্বীকার স্বামীর

Views: 36

বরিশাল অফিস :: বরিশালের বানারীপাড়ায় তেতলা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে বিথী সমদ্দার (২৫) নামের এক গৃহবধুকে নৃশংসভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী।

ঘাতক স্বামী সুমন রায় আজ সোমবার (১২ ফেব্রয়ারি ) বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিকালে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বিচারক খোকন হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আসামীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরআগে রোববার ( ১১ ফেব্রয়ারি) রাতে নিহত বিথী সমদ্দারের ভাই বিবেক সমদ্দার বাদী হয়ে বোন জামাতা সুমন রায়, তার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর রায় ও মা সন্ধ্যা রায়কে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম জানান, আসামী সুমন রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে সে বিচারকের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে বিথীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পরে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহের জেরে রোববার (১১ ফেব্রয়ারি) বেলা ১১টার দিকে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমন রায় হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রী বিথীর মাথায় এলোপাথারি পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে সুমনকে আটক করেন। এসময় সুমন জনরোষ থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে স্ত্রীকে হাতুড়ি পেটা করে মার্ডার করেছেন জানিয়ে পুলিশের কাছে আাত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

জানা গেছে. ৫ বছর পূর্বে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে বিথী সমদ্দারের সঙ্গে
বানারীপাড়ার উদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর রায়ের ছেলে সুমন রায়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সুপ্তী রায় নামের তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাকে খুঁজে না পেয়ে শিশু সুপ্তীর কান্না কিছুতেই থামছেনা।

স্বজনসহ আগন্তুক নারীদের মাঝে মাকে খুঁজে ফিরছে সে। অবুঝ শিশুটির কান্না সবাইকে অশ্ররু সজল করছে।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *