শিরোনাম

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ ব্যবসায় ধস

Views: 11

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী সংকট শুরু হয়েছে, যার কারণে লঞ্চ ব্যবসায় বড় ধরনের ধস নেমেছে। এক সময় যেখানে প্রতিদিন ১০টি লঞ্চ চলাচল করত, বর্তমানে তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুটি। এর ফলে লঞ্চ মালিকদের অনেকেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নতুন কৌশল গ্রহণের কথা ভাবছেন।

বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, লঞ্চ ব্যবসা পুনরুজ্জীবিত করতে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে, বরিশাল-ঢাকা রুটে এক সময় প্রচুর যাত্রী থাকলেও এখন এটি এক ধরনের সংকটে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথের মাধ্যমে ঢাকায় যাতায়াত সহজ হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

এক সময় যেখানে বরিশাল-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১০টি লঞ্চ চলত, এখন সেই সংখ্যা মাত্র দুটি হয়ে গেছে। এতে ১ হাজার কোটি টাকার এই পরিবহন খাতে এখন ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। লঞ্চ মালিকরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি এবং অনেক শ্রমিক তাদের কাজ হারিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে, শ্রমিকরা জানান, “আগে দিনে ঢাকা থেকে ছয় থেকে সাতটি লঞ্চ যাত্রী ভরে বরিশাল আসত, তবে এখন এক সপ্তাহে একটি ট্রিপ পাওয়া যাচ্ছে।”

লঞ্চ ব্যবসায় ধস নেমে যাওয়ার পর, অনেক মালিক এখন প্রমোদতরী হিসেবে লঞ্চ ব্যবহারের চিন্তা করছেন। সুরভী গ্রুপের পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, “নৌযাত্রা আমাদের শতবর্ষের ঐতিহ্য, এবং আমরা এটিকে টিকিয়ে রাখতে চাই। ঢাকা-বরিশাল রুট ছাড়াও অন্যান্য রুটে লঞ্চগুলোকে ক্রুজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।”

বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের লঞ্চমুখী করতে তারা নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “যাত্রীরা যদি সময়ের চেয়ে বেশি জীবন নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেন, তবে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তবে, বর্তমানে আমাদের রাজস্ব আয় ৬৬ শতাংশ কমে গেছে।”

গত ২০ বছরে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ২৬টি বিলাসবহুল লঞ্চ চালু করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগ এখন অব্যবহৃত।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *