বরিশাল অফিস :: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ২২টি অ্যাম্বুলেন্সের ১৬টি নষ্ট পড়ে আছে। বাকি ৬টি সচল থাকলেও চালক না থাকায় গ্যারেজে পড়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। চালক না থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকায় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে তাদের।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ২২টি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বেশির ভাগই নষ্ট পড়ে আছে। পুরোনো ১৫টির মধ্যে ৮টি একেবারেই নষ্ট। আর অত্যাধুনিক ৭টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি বিকল। বাকি ৬টি চালক না থাকায় বেশিরভাগ সময় পড়ে থাকে গ্যারেজে।
অ্যাম্বুলেন্সের এক চালক বলেন,আমাদের এইখানে কেউ মারা গেলে বা অবসরে গেলে নতুন কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। এইখানে নতুন নিয়োগটা আমাদের প্রয়োজন।’
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিপদে আছি। নতুন এসব অ্যাম্বুলেন্স বেশিরভাগ সময় চালানো না হলে ত্রুটি দেখা দেয়, টায়ারের টেম্পার নষ্ট হয়ে যায় ও ব্যাটারি ড্যামেজ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক কাজেও ত্রুটির সৃষ্টি হয়। কল রোটেশন করে গাড়ি সচল রাখতে হচ্ছে।’
সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে প্রতি কিলোমিটার যাতায়াত খরচ ২০ টাকা। কিন্তু হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগী ও স্বজনেরা। বাধ্য হয়েই প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে তাদের।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের যে অ্যাম্বুলেন্স সেগুলো নাই। সেগুলো গ্যারেজে বসায় রাখছে। অথচ ১২ শ টাকা ভাড়া দিয়ে এইখানে আইছি।’
আরেক স্বজন বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে জিম্মি। আমরা যখন প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স আনতে যাই, তখন তারা যা ভাড়া দাবি করে তখন তাদের সেটাই দিতে হয়। সেটা কখনো ৩ হাজার, কখনও ৪ হাজার। এ অবস্থায় জনবল নিয়োগ দিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণভাবেই অচল হয়ে পড়েছে। চালকের ৫টি শূন্যপদ পুরোনো করা গেলে বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো সার্বক্ষণিক সচল রাখা যাবে।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার বার এমন আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।