শিরোনাম

বস তিতা হলে কী করবেন?

Views: 49

কর্মজীবনে আতংক কিংবা ভরসার নাম ‘বস’। তাঁর একটু আনুকূল্য পেতে কতোই না প্রাণান্তকর চেষ্টা,  আবার বাগে আনতে না পারলে উল্টো শায়েস্তার নানা ফন্দি। কি করলে  ‘বস’এর মন পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে লিখেছেন মো: লতিফুর রহমান।

‘বস তিতা হলে কী করবেন?’ – এই শিরোনামে একটা লেখা পেলাম হাভার্ড বিজনেস রিভিউ ওয়েবসাইটে। তারা বিভিন্ন গবেষণাপত্র থেকে তথ্য নিয়ে লিখেছে।

খুব আগ্রহ সহকারে পড়া শুরু করলাম। ভাবলাম ‘যতসব বন্দিশালায়, আগুন জ্বালা, ফেল উপড়ি’ ধরণের কিছু পাবো। কিন্তু হতাশ হতে হলো।

তারা লিখেছে- বস যতই তিতা হোক মূলত তোমাকে ঠিক হতে হবে!

খুবই ইন্টারেস্টিং! কী কী ঠিক করতে হবে তার মধ্যে লিখেছে- ভালো ঘুম, ব্যয়াম, পুষ্টিকর খাওয়া এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকা। কারণ এগুলো ব্যক্তির দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।

এটা কোনো কথা হলো! আশায় গুড়ে বালি। ভাবলাম একটু তলিয়ে দেখি এমন পরামর্শ দেয়ার কারণ কী।

হাভার্ড বিজনেস রিভিউ লিখেছে- বসকে মোকাবেলা করতে হলে নিজের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। অতপর সেখানে উন্নতির জন্য লেগে থাকতে হবে।

তারা নাকি গবেষণা করে পেয়েছে, বেতন-বোনাস বৃদ্ধির চাইতে ব্যক্তিগত উন্নতি ওই ব্যক্তির বেশি উপকার করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সে খুশি থাকে।

ওই আর্টিকেলে বসকে ঠিক করা নিয়ে কিছুই লেখেনি। আরও যা লিখেছে সবই ভুক্তিভোগীর উন্নতি সম্পর্কে।

লিখেছে- কোম্পানিতে আপনার কাজের প্রয়োজন জানতে হবে। এজন্য পুরো কোম্পানি কীভাবে চলে বুঝতে হবে। এসব বুঝতে পারলে বসের কথায় মন খারাপ না করে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন। কারণ আপনার ভূমিকা মন্থর হলে কোম্পানির কী ক্ষতি হচ্ছে সেটা তখন আপনাকে পেরেশান করবে।

অতপর তারা বলছে- আপনার একজন গুরু থাকতে হবে। যার কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিবেন। আপনার ভুলগুলো তিনি ধরিয়ে দিবেন। সমাধানের উপায় বাতলে দিবেন। সেটা অফিসের ভেতর বা বাইরেও হতে পারে।

যাদের সাথে আপনার ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে তাদের সাথে নিয়মিত সময় কাটাতে হবে। এতে মন উৎফুল্ল থাকবে। তারা আপনাকে সাহস দিবে।

অফিস যখন আপনার কাছে তিতা তখন অফিসের বাইরের জীবন আপনাকে উপভোগ করতে হবে। পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়া, সামাজিক বিভিন্ন উপলক্ষ্যে প্রাণবন্ত অংশ নিতে হবে।

যাইহোক, লেখাটি পড়ে বুঝলাম আমরা যা ভাবি তা আসলে সত্য নয়। আমাদের ভাবনা জুড়ে থাকে বসকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে। অথচ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে নিজের উন্নতির প্রতি মনোযোগ দিলে তাতে ফায়দা বেশি। বসের সাথে সম্পর্কটাও তিতা থেকে মিঠা হয়।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *